প্রতিরোধের জন্য কিছু আলোচনা

প্রতিরোধের জন্য কিছু আলোচনা

রতিরোধঃ প্রতিরোধের জন্য অনেক আগেই কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য নিয়ে অনেক বার আলোচনা করা হয়েছে।

ক) কবুতর কে সপ্তাহে/১৫ দিনে/মাসে অন্তত ১ দিন কিছু সময়ের জন্য উপবাস রাখা। এতে কবুতরের কর্প এ জমে থাকা সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে বেচে থাকে।

খ) আমি একটি খাদ্য তালিকা দিয়েছিলাম সেখানে কাল জিরার আন্তভুক্ত ছিল। আপনি যদি মাঝে মাঝে কালজিরা + মেথি + মউরি + জাউন এই উপাদানের মিক্স করে (৪০% + ৩০% + ১৫% + ১৫%) খেতে দেন আপনার কবুতর কে তাহলে দেখবেন আপনার খামারে অনেক অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।

গ) এছাড়াও মধু/রসুন/লেবুর রস, কাঁচা হলুদ, অ্যাঁলভিরা বা কাঁচা শাক-সবজি এগুলো আপনার কবুতর কে সজিব রাখতে সাহায্য করবে।

ঘ) একটা বিষয়ে সতর্ক থাকবেন অনেকেই কবুতর কে মোটা তাজা করার জন্য সংক্ষেপ রাস্তা খুজেন! এটা ঠিক না বিশেষ করে যারা বর্তমানে বয়লার গ্রয়ার খাওয়াচ্ছেন তারা এটা খাওয়ান বন্ধ করে দেন কারন বর্তমানে এই খাবারে না ধরনের ক্যেমিকাল মিক্স করা হচ্ছে যা আপনার কবুতরের স্বাস্থ্য গত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঙ) আপনার খামারে রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে অন্যতম উপাদান হল, খাদ্য পরিস্কার বা নিয়মিত ফাঙ্গাস মুক্ত বা স্যাঁতসেঁতে মুক্ত রাখা। খাবারে ফাঙ্গাস সব ঋতুতেই কমবেশি পরে এই আপনি যদি আপনার খাবারের এই ফাঙ্গাস এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন বা খাবার পরিস্কার এর ব্যাপারে খেয়াল রাখেন তাহলে আশা করা যায় যে আপনার খামার ৮০% রোগ মুক্ত থাকবে কোন প্রকার ঔষধ প্রয়োগ ছাড়াই। আর এই লক্ষে আপনাকে খাবার রোদে দিতে হবে মাঝে মাঝে বা আগুনে হালকা গরম করে নিতে পারেন।

চ) ৪৫ দিন পর পর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। তবে অসুস্থ ও বাচ্চা যেগুলোর আছে সেগুলো কে বাদে বা যেগুলো ১-২ দিনের মধ্যে ডিম দিতে পারে এমন বা যে সমস্থ কবুতরের ৩-৪ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটবে আমন কবুতর কে অনুগ্রহ করে দিবেন না।

ছ) আমাদের দেশে অধিকাংশ খামারি তথাকথিত ভ্যাকসিন (মুরগির) দিবার ব্যাপারে খামারি অস্থির থাকেন এবং দুঃখ জনক হলেও সত্য যে অনেকেরই ধারনা এই ভ্যাকসিন না দিলে না জানি কি হয়ে যাবে, নতুন খামারিরে দের দোষ দিব না কারন এই ভ্যাকসিনের ভ্রান্ত ধারনা অনেক বড় ও পুরাতন খামারি দের মধ্যেও আছে। ভ্যাকসিন দিতে আমি মানা করব না তবে অনুরধ করব যেন আমাদের দেশের মুরগির ভ্যাকসিন না দিয়ে কবুতরের জন্য তৈরি ভ্যাকসিন দিবেন। তা না হলে হিতে বিপরীত হবে।

জ) আপনার খামার পরিস্কার পরিছন্ন রাখারা চেষ্টা করবেন, আর এই লক্ষে আপনার খামারকে অন্তত ২-৩ দিন পর পর তাদের বিষ্ঠা বা মল পরিস্কার করা উচিৎ। কারন কবুতরের রোগের অন্যতম আরেকটি উপাদান হল এই মল। এগুলো শুকিয়ে ধুলাই পরিনত হয় আর ফলে না ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায়। আর পরিস্কার করার পাশাপাশি জীবাণু মুক্ত ঔষধ ছিটান উচিৎ। যেমন- VIROCID, FARM30, VIRCON S, HALAMID,OMNICIDE, TEMSEN ETC ১ লীটার পানিতে ১ গ্রাম মীক্স করে স্প্রে করা ভালো।

ঝ) যদি প্রতিরোধের ব্যাপার আসে তাহলে হোমিও Tiberculinum 30 দিতে পারেন ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে পুরো খামারে। আপনার খামারে যতটুকু পানি লাগে সেই অনুযায়ী। সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। আর এই ঔষধ গ্রীষ্ম ও বর্ষার জন্য ঠাণ্ডা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে থাকে। আরও কিছু হোমিও ঔষধ যা আপনার প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকেঃ যেমন-

১) Borax 30 = ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটি বায়ু বাহিত রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।

২) Belodona 30= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। পি,এম,ভি রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।

৩) Hypericum 200= ১ ফোঁটা করে আক্রান্ত কবতর কে ১০ মিন পর পর ৭-৮ বার দিলে ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে ও নিরাময়ে ভাল কাজ করে ভাল কাজ করে থাকে।বিশেষ করে ১-৫ দিনের বাচ্চা কবুতরকে ১ চামচ পানিতে ১-২ ফোঁটা মিচ করে ১ ফোঁটা করে ৩-৫ বার ১০ মিন পর পর দিলে ভাল ফল হয়।

৪) Nux Bhum 30= ঊচ্চমাত্রার ঔষধ বা অ্যান্টিবায়টিক বা বেশী গরম ঔষধ ব্যাবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাটাতে ১ ফোঁটা করে ৪ থেকে ৫ বার ১০-১৫ মিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে যদি কোন খাবারের কারনে বিষক্রিয়া হয় তাহলেও এটি ভাল কাজ করে থাকে।

৫) Kali Mur 6x or deptherin 200= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন তবে deptherin 200ব্যাবহার করলে ১ ঘণ্টার মধ্যে পানি সরিয়ে ফেলবেন আর প্রথমটি ১ টি করে ট্যাবলেট লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন ।এটী ডীপথেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।

৬) EUPOTORIUM PERFO 30= ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটী ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্‌ বলেন, “আমি এই কোরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকার দ্বারা সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি।“(সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত-৮৯)

২) প্রতিকারঃ আমরা প্রতিকারের ব্যাপারে ধৈর্য ধারন করি কম। অথচ রোগের নিরাময়ে এটার গুরুত্ত অপরিসিম। আমাদের মনে কাজ করে ঔষধ যেন কম্পিউটারের বাটন এর মত কাজ করে চাপ দিলাম আর হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবে এভাবে হয়না। আমরা নিজেরা নিজেদের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়না। আমাদের অসুখ হলে আমরা কম মাত্রার ঔষধ আগে ব্যাবহার করি পরে ভাল না হলে উচ্চ মাত্রার তাই না? কিন্তু কবুতরের ক্ষেত্রে করি ঠিক তার উল্টাটা কেন? তখন আমাদের বিচার বুদ্ধি ঘাস চরতে যায়। প্রতিকারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করা হচ্ছে তা প্রয়োগের ২ দিনের মধ্যে কবুতরের পায়খানার রঙ পরিবত্তন হচ্ছে কিনা? যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার প্রয়োগকৃত অ্যান্টিবায়টিক নির্ণয় ঠিক নাই বা আপনার রোগ নির্ণয় সঠিক নাই অথবা এতে কোন কাজ হচ্ছে না তার ফলে আপনাকে দ্বিতীয় বিকল্প চিকিৎসা তে যেতে হবে বা অন্য ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ কবুতর খামারি একটি সাধারন সমস্যাই ভুগেন আর এই সাধারন সামান্য সমস্যা কে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যান যেখান থেকে ফিরা মুশকিল হয়ে যায়। যেমনঃ প্রায় খামারির কবুতর পাতলা পায়খানা করে থাকে। এটি অতি সাধারন সমস্যা কিন্তু এই সাধারন সমস্যা কে এমন জটিল করে ফেলে নানা অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাতলা পায়খানা কেন হয় তার কিছু কারন নিচে দিয়া হলঃ

১) প্রথমত, কবুতরের পাতলা পায়খানা ঋতু-অনুযায়ী হয়। যেমনঃ শীতে, গ্রীষ্মে ও বর্ষাই এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এটা কে অবজ্ঞা করা যাবে না তবে অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ ও করা যাবে না কারন অধিকাংশ পাতলা পায়খানা ভাইরাল আর ভাইরাল সংক্রমনে অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না। তবে এ ক্ষেত্রে স্যালাইন দিতে হবে বিশেষ করে রাইস স্যালাইন দিলে ভাল আর হামদারদ এর পেচিস যা বর্তমানে ডেনিশ নামে পাওয়া যায় অর্ধেক করে দিনে ৩ বার ৩ দিন দিতে পারেন।

২) লবনের ঘাটতি হলে, অধিকাংশ কবুতর পাতলা পানির মত পায়খানা করে থাকে আর এই ঘটনাই বেশী গতে থাকে বেশীরভাগ খামারে। আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে গ্রিট বা লবন পানি সরবরাহ করতে হবে। লবন সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে না এতে বিষক্রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকতে পারে। অনেকেরই ধারনা বাজারে যে গ্রিট পাওয়া যায় সেগুলো দিলে কবুতরের জন্য ক্ষতি হতে পারে, আসলে তা ঠিক না। যদি তাই হয় তাহলে তো বাইরের খাবার আপনি খাওয়া তে পারবেন না, তাই না। আপনি বাইরের গ্রিট কে এনে একটু গরম করে খেতে দিন না। কোন সমস্যা নাই। আর একটা ব্যাপার চিন্তা করতে হবে যার ২-৩ জোড়া কবুতর আছে, তিনি তো আর গ্রিট তৈরি করতে যাবেন না আর তার পক্ষে সেটা সম্ভবও না।

৩) খাবারে ফাঙ্গাস এর কারনে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে যেভাবে উপদেশ দিয়া হয়েছে সেটা অনুসরন করুন।

৪) অনেক সময় ভিটামিন প্রয়োগের ফলে পাতলা হলুদ ধরনের পায়খানা দেখা দিতে পারে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি যে ভিটামিন টি প্রয়োগ করছেন সেটা নষ্ট হয়ে গেছে, আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে সেই ভিটামিন তা পরিবর্তন করতে হবে।

৫) অনেক সময় new adult কবুতর প্রজননের সময় পাতলা পায়খানা করতে পারে, এটি অতি সাধারন একটি ঘটনা, বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্ন ভাবে এই জিনিসটা জানান দেয়।

৬) ভ্রমন জনিত কারনে পাতলা পায়খানা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু স্যালাইন ও গোসল দিবার ব্যাবস্থা করতে হবে। বা অনেক সময় স্ট্রেস বা পানি শূন্যতার লক্ষণ প্রকাশের সময় এই ধরনের পাতলা পায়খানা করতে পারে সেটা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। কবুতরের স্ট্রেস ও পানিশূন্যতার উপর যে পোস্ট আছে তা পরে আপনারা জানতে পারবেন কেন এটা হয়।

৭) দূষিত পানির কারনে বা বিশুদ্ধ পানির অভাবে পাতলা পায়খানা হতে পারে, আর এই কারনে আপনাকে ফুটান পানি, ফিল্টার পানি বা গভির নলকূপের পানি ব্যাবহার করতে হবে। পানির ও খাবারের পাত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। বাইরের স্যান্ডেল খামারে প্রবেশ করান হাবে না। বা যদি কোন ব্যাক্তি ডাইরিয়ায় আক্রান্ত থাকে তাহলে তাকে খামারে প্রবেশ করান যাবে না বা যিনি খাবার ও পানি পরিবেশন করবেন তাকে হাত মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।

৮) যদি পাতলা পায়খানাটা চাল ধুঁয়া পানির মত হয় বা বমি করতে থাকে অনবরত তাহলে, চালের স্যালাইন দিবেন পেচীশ ১ টা করে দিবেন দিনে ৩ বার আর হোমিও champhor 30 দিতে পারেন ১ ফোঁটা করে দিনে ৫-৬ বার, যদি পায়খানা গোটা খাবার সহ হয় তাহলে হোমিও Chaina 30 দিতে পারেন ১ ফোঁটা করে ৪-৫ বার। বমি বন্ধের জন্য হোমীও ঈপীকাক ৩০ ১ ফোটা করে দিবেন ১০ মিনিট পর পর।
-s.r-

All treatment for cold

All treatment for cold

০১. আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে
অসুস্থতা
শরীর ফুলিয়ে মুখ গুজে বসে থাকা
কম খাওয়া
আলো বা তাপ পছন্দ করা
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Adovas - 3ml in 1 liter water
Respiront Multivit
Toycol, Tylocef ( tilocin group) + Multivitamin
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
Nuxvom 200 ( পাখিদের খাবার
পানিতে ৪ ফোটা করে ৩ দিন
মিশিয়ে দিতে হবে )
০২. শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা
নাক দিয়ে পানি পরা
ঘড় ঘড় শব্দ করা
কাশি দেয়া
নাক ও মুখ দিয়ে আঠালো বস্তু পরা
জোরে শ্বাস নেয়া
মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Adovas / Toycol, Tylocef ( tilocin group) =
হালকা ঠাণ্ডা কাশি হলে
খাওয়াতে হবে
Tydocol / Tylosef + Oxycenting 20% / Tylodox +
Respiron = বেশী ঠাণ্ডা বা কফ
থাকলে
( পাখি বেশী দুর্বল হলে
প্রয়োজনে Maxfort / Hyperchok
Amino মাল্টিভিটামিন দেয়া যাবে)
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
প্রথমে Nuxvom 30 ( পাখিকে সরাসরি
১ ফোটা ও খাবার পানিতে ৪
ফোটা করে ২ দিন মিশিয়ে দিতে
হবে )
যদি নাক দিয়ে পানি পরে Rush Tox
30 / শীতকালীন সমস্যায় Campfar 30
যদি শুকনা ও ঠাণ্ডা হাঁচি হয়
তাহলে Dulcamra 30
যদি ঘড় ঘড় শব্দ করে ও কফ থাকে
তবে Antim Tert 30
যদি শুধুমাত্র মুখ হাঁ করে শ্বাস নিতে
থাকে তবে Spongia 30 অধিক
কার্যকরী
০৩. পরিপাকতন্ত্রের অসুস্থতা (সবুজ
পায়খানা)
গাঢ় সবুজ / শেওলা রং / পিত্ত রঙের
পায়খানা
সবুজ পিচ্ছিল পায়খানা
Vent Area সবুজ হয়ে থাকা
সবুজ পায়খানার সাথে পানির ভাগ
বেশী থাকা
পাখি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে
আসা
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
প্রথমে Esb 30 + Electrolite Saline ব্যাবহার
করে দেখা যে পাখির পায়খানা
স্বাভাবিক হয় কিনা
দ্বিতীয়ত Oxycenting 20% অথবা Human
Doxin 100 mg + Esb 30 + Electrolite
Saline ব্যাবহার করা
( পাখি বেশী দুর্বল হলে
প্রয়োজনে Maxfort / Hyperchok
Amino মাল্টিভিটামিন দেয়া যাবে)
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
Nuxvom 30 ২ দিন দিয়ে অবস্থা
পরীক্ষা করতে হবে
অবস্থা পরিবর্তন না হলে IPIKAK 30 ২/৩
দিন দিতে হবে
তারপরেও ভালো না হলে Akonaite 30
ব্যাবহার করা যাবে
যদি কোনোভাবে অবস্থা নিয়ন্ত্রনে
না আসে তবে Arcenic 30 ব্যাবহার করা
যাবে । কোনও অবস্থাতেই আগেই
Arcenic ব্যাবহার করা উচিৎ হবে না ।
০৪. পরিপাকতন্ত্রের অসুস্থতা ( চুনা
পায়খানা )
সাদা চুনের মতো পায়খানা
পায়খানায় পানির পরিমান বেশী
খাবার খাওয়ার পরিমান কমে
যাওয়া
পাখির ঝিমান ভাব
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
প্রথমে Esb 30 + Electrolite Saline ব্যাবহার
করে দেখা যে পাখির পায়খানা
স্বাভাবিক হয় কিনা
দ্বিতীয়ত Oxycenting 20% অথবা Human
Doxin 100 mg + Esb 30 + Electrolite Saline
ব্যাবহার করা
( পাখি বেশী দুর্বল হলে
প্রয়োজনে Maxfort / Hyperchok
Amino মাল্টিভিটামিন দেয়া যাবে)
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
প্রথমে Nuxvom 30 ২ দিন
দ্বিতীয়ত Pulsetula 30 ৫ দিন
০৫. পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্র উভয়ের
অসুস্থতা ( viral desease)
গাঢ় সবুজ / শেওলা রং / পিত্ত রঙের
পায়খানা
সবুজ পিচ্ছিল পায়খানা
Vent Area সবুজ হয়ে থাকা
সবুজ পায়খানার সাথে পানির ভাগ
বেশী থাকা
পাখি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে
আসা
নাক দিয়ে পানি ঝরা
ঘড় ঘড় শব্দ করা
কাশি দেয়া
নাক ও মুখ দিয়ে আঠালো বস্তু পরা
জোরে শ্বাস নেয়া
মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া
চোখ দিয়ে পানি পরা
চোখ ফুলে যাওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Tylodox + Esb 30 + Electrolite Saline
অথবা
Human Doxln 100 + Esb 30 + Tylosef / Tydocol
অথবা
Oxycenting 20% + esb 30 + Toylosef +
Electrolite Saline
অথবা
Tylodox + Esb 30 + Eletrolite Saline
বিশেষ দ্রষ্টব্য =
পাখি বেশী দুর্বল হলে
প্রয়োজনে Maxfort / Hyperchok
Amino মাল্টিভিটামিন দেয়া যাবে

পাখি সুস্থ হলে
পরবর্তীতে Protexin বা টক দই বা Apple
Cider Vinegar ( ACV ) প্রবায়টিক হিসেবে
পাখিকে খাওয়াতে হবে ।
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
প্রথমে Nuxvom 30 ২ দিন
দ্বিতীয়ত Aconaite 30 ৩ দিন
পরবর্তীতে Arcenic 30 ৩ দিন
যদি পায়খানা ঠিক হয়ে যায়, কিন্তু
ঠাণ্ডা ভালো হয় নাই তবে Antim 30
দিতে হবে
যদি ঠাণ্ডা ভালো হয়েছে, কিন্তু
পায়খানা সবুজ থাকে তবে IPIKAK 30
দিতে হবে
যদি ঠাণ্ডা ভালো হয়েছে, কিন্তু
পায়খানা চুনা থাকে তবে Pulsetula
30 দিতে হবে
যদি চোখ দিয়ে পানি পরে তবে
Euphoresia 30 দিতে হবে
০৬. বদহজম
খাঁচায় ঝুলে থাকা
বমি বমি ভাব করা বা বমি করা
চঞ্চলতা কমে যাওয়া
কম খাওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Hemko P.H + Engime
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
Nuxvom 200 ( বমি বমি ভাব করলে )
IPIKAK 30 ( বমি করে ফেললে)
বিশেষ দ্রষ্টব্য = লেবু ও রসুনের রস
মিশ্রিত হালকা লিকার চা অথবা গন্ধ
মাদুলি পাতার রস এক্ষেত্রে বিশেষ
উপকারি ও কার্যকর ।
০৭. Protozoal Problem - কৃমি ও উকুন ( Air Seck
Mites )
পাখিভ চঞ্চলতা কমে যাওয়া
Vent Area চুলকানো
পালক ঝরা
খাঁচার সাথে শরীর ঘষা
শরীরে ছোট ছোট পোকার অস্তিত্ব
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Acimec Oral Solution ( ১ লিটার
পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে ২ দিন -
১৫ দিন পর পর ১ দিন)
Quaviet ( জীবাণু ও পরজীবী নাশক
দিয়ে পাখির শরীরে স্প্রে করটে
হবে । খেয়াল রাখতে হবে যেন
পাখির চোখে না লাগে)
খ. হারবাল চিকিৎসা =
নিম পাতা খেতে দেয়া
পাখির শরীরে নিম পাতা সিদ্ধ
পানি ভালো করে স্প্রে করা
নিম পাতা সিদ্ধ পানি শুধুমাত্র কৃমি
হলেই পাখিকে খেতে দিতে হবে
০৮. Canker / Trichamonasis (ক্যাঙ্কার /
ট্রিচামনাসিস)
বাচ্চা পাখির খাদ্যনালী সরু হয়ে
যাওয়া
পেট থেকে vent area 'র উপরিভাগ
লালছে থেকে কালচে হয়ে যাওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Ronidazole গ্রুপের ঔষধ Ronin বা Ronivet
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
Nuxvom 30 ( পাখিদের খাবার
পানিতে ৪ ফোটা করে ২ দিন
মিশিয়ে দিতে হবে )
Marksol 30 ( পানিতে ৪ ফোটা করে ৫
দিন)
০৯. Physical Injury
মারামারি করে বা আঘাতের
কারনে রক্তাক্ত হওয়া
ব্যাথা পাওয়া
পা ফেলতে না পারা
ডানা ঝুলে যাওয়া
খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটা
পায়ের হাড় স্থানচ্যুত ( Disbalance) হওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি =
হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
ক্ষত স্থানে Calendula Mother Tinqture
দিয়ে ভালো করে wash করে দিতে
হবে
Arnica 30 ( খাবার পানিতে ৪ ফোটা
করে ৫ দিন দিতে হবে )
যদি হাড় স্থানচ্যুত ( disbalance ) হয়, তবে
Hyparicum 30 ব্যাবহার করতে হবে
১০. খিঁচলাগা রোগ
ঠাণ্ডা নাই, পায়খানা ভালো,
তারপরেও ঝিমান ভাব
প্রথমে কিছুক্ষন স্বাভাবিক আবার
কিছুক্ষন অস্বাভাবিক
খাঁচার এক কোনায় বসে থাকা
দ্রুত ওজন কমে যাওয়া
জোরে শ্বাস নেওয়া
খাওয়ার চেষ্টা করা কিন্তু কিছুই
খেতে না পারা
চিকিৎসা পদ্ধতি =
হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
Nuxvom 30
Browmia 30
১১. পক্ষাঘাত (Paralisis)
পাখি হঠাৎ উড়তে না পারা
পা অবশ হয়ে পরা
নড়াচড়া করতে না পারা
কিছুক্ষন পরপর অনবরত ঘার ঘুরানো
চিকিৎসা পদ্ধতি =
ক. ভ্যাটেরিনারী চিকিৎসা
Vitamin B-complex ও Zinc
Calcium
খ. হোমিওপ্যাঁথি চিকিৎসা =
Nuxvom 30 ( পাখিদের খাবার
পানিতে ৪ ফোটা করে ২ দিন
মিশিয়ে দিতে হবে )
Costicum 30 ( পানিতে ৪ ফোটা করে ৫
দিন)
হোমিওপ্যাঁথি ঔষধ ব্যাবহারের
নিয়মাবলী
০১. হোমিওপ্যাঁথি ঔষধ খালি পেটে
খাওয়াতে হয় । হোমিওপ্যাঁথি ঔষধ
খাওয়ানোর ২ ঘণ্টা আগে খাবার ও
পানি সরানো উচিৎ । হোমিওপ্যাঁথি
ঔষধ খাওয়ানোর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা পর Seed
Mix দেয়া উচিৎ ।
০২. পাখিকে ড্রপার দিয়ে ঔষধ
খাওয়ালে পাখির Beack এর side থেকে
দিতে হবে । সামনে দিয়ে দিলে ঔষধ
ঠিক মতো খাওওান যাবে না বা ঔষধ
পরে যাবে ।
০৩. ধৈর্য রাখতে হবে ।
০৪. প্রতিটা ঔষধের জন্য আলাদা
আলাদা ড্রপার ব্যাবহার করতে হবে ।
তথ্য সংগ্রাহক = শৌখিন পাখাল বন্ধ

Kategori

Kategori